মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি (জগন্নাথপুর থেকে):: জগন্নাথপুর পৌর শহর সহ জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে অনুমোদনহীন অবৈধ ব্যটারী চালিত ইজিবাইক (টমটম) গাড়ী। লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। অহরহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। দেখেও না দেখার ভান করছেন ট্রাফিক পুলিশ। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বিদ্যুতে পড়ছে প্রভাব।

আজ ১০ ই ফেব্রুয়ারী সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহর এর সবকটি অলি-গলি সহ জগন্নাথপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি সড়কে সরকারি নীতিমালা অমান্য করে অনুমোদনহীন অবৈধ শত শত ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক (টমটম) গাড়ী অবাধে চলাচল করছে। বিশেষ করে জগন্নাথপুর পৌর শহরে ট্রাফিক পুলিশ এর চোখের সামন দিয়ে এই সকল অবৈধ ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক( টমটম) গাড়ী গুলো অবাধে চলাচল করলেও ট্রাফিক পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছেন। পৌর শহরে লেগেই আছে যানজট। ভোগান্তির শিকার পথচারীরা। এই গাড়ী গুলো হালকা হওয়ার কারণে অহরহ ছোট -খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও এই গাড়ী গুলো ব্যাটারী চালিত হওয়ার ফলে বিদ্যুতে ওপর প্রভাব পড়ছে। বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং লেগেই আছে। এমনকি এই গাড়ী গুলো সরকারি ভাবে অনুমোদনহীন হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব । আর লাভবান হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী ট্রাফিক পুলিশ।
এ ব্যাপারে একাধিক পথচারী তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, জগন্নাথপুর পৌর শহরে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক (টমটম) গাড়ীর প্রবেশাধিকার এর ওপর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্যেও অনাধিকার প্রবেশ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পথ চলতে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পৌর শহরের ডাকবাংলা রোড, রানীগঞ্জ রোড ও চিলাউড়া পয়েন্ট এই গাড়ী গুলো অবৈধ স্যান্ড হিসাবে ব্যবহার করছে। বিদায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন জগন্নাথপুরবাসী।