জাফলংয়ে সেই সাজাপ্রাপ্ত বাবলু-শাহাজ জেলে

প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২৫

জাফলংয়ে সেই সাজাপ্রাপ্ত বাবলু-শাহাজ জেলে

বিশেষ প্রতিনিধি :

জাফলংয়ে জাল দলিলে ভুমি আত্মসাতের ঘটনায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বাবলু ও শাহাজকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। ১৯ শে জুন মামলার রায় হওয়ার দিন থেকে তারা পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে তাদের কারাগারে প্রেরন করা হয়।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাসান আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- রায় ঘোষনার পর থেকে দুই আসামি পলাতক ছিলেন। সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগরে পাঠানো হয়েছে।
জাফলং মামার দোকানের বাসিন্দা মৃত গনি বখতের ছেলে বাবলু বখত ও জাফলং আলী নগর গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে শাহাজ উদ্দিনকে গত ১৯ শে জুন ভুমি জালিয়াত মামলায় ৫ বছরের দণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
বিশ্বনাথের মৃত অবনি কান্ত দাশের নামে সৃজন করা একটি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ২০১২ সালের ৮ই অক্টোবর জাফলংয়ের সোনাটিলার হাজী সোনা মিয়ার ১৬৫ শতক ভুমি ক্রয়ের আরেকটি দলিল সৃজন করেন বাবলু বখত ও শাহাজ উদ্দিন। পরবর্তীতে রেকর্ড থেকে হাজী সোনা মিয়ার মৌরসী সম্পত্তির মুছে দিতে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের বালাম বইয়েরও পাতা পরিবর্তন করা হয়। এরপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে হাজী সোনা মিয়ার সম্পত্তি দখলে নামে বাবলু ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় গত ২০১৩ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি হাজী সোনা মিয়ার পুত্র খায়রুল মিয়া বাদি হয়ে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল চতুর্থ আদালতে বাবলু বখত ও শাহাজউদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান ২০১৪ সালের ২৯ শে জানুয়ারি আদালতে বাবলু ও শাহাজের বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমান পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। একই সঙ্গে সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বালাম বই জব্দ করা হয়। প্রায় ১১ বছর দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে ভুমি জালিয়াতির বিষয়টি প্রমানিত হলে দুই আসামিকে সাজা দেওয়া হয়েছিলো।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV