দিরাইয়ে কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের অর্থায়নে হিজল করচ বৃক্ষরোপন

প্রকাশিত: ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০

দিরাইয়ে কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের অর্থায়নে হিজল করচ বৃক্ষরোপন

 

 

এস এম উমেদ আলীঃ

অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের অর্থায়নে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় অর্জনের চেষ্টা।হাওর পাড়ের বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এলাকা এবং ভাঙনপ্রবণ রাস্তার পাশে হিজল করছ গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়!

১৭ ই ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঘটিকায় নাচনী ও হাতিয়া গ্রামের সড়কগুলোতে হিজল করচ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়!

বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের মডারেটর,সাংবাদিক সাজু আহমেদ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন দৈনিক জনতার কণ্ঠ’র বার্তা সম্পাদক এস এম উমেদ আলী!
বক্তব্য রাখেনঃকুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের উপদেষ্টা,দিরাই সমাজ কল্যাণ সমিতির ফ্রান্স সভাপতি পিয়ারমোহাম্মদ,
কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের উপদেষ্টা ইউপি সদস্য চাঁনমিয়া চৌধুরী,
কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের উপদেষ্টা দৈনিক জনতার কণ্ঠ’রউপদেষ্টা সামছুল ইসলাম আবাব, কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন মোঃ আখলাক হুসাইন, কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন মোঃ দিদার আহমদ,সাবেক ইউপি সদস্য সমাজ সেবক রবিউল ইসলাম মান্না, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ, মজুমদার উল্লা,কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের মডারেটর সাইফুদ্দীন সুফিয়ান,কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের মডারেটর মিজানুর রহমান তালুকদার, জাকির হোসেন, টিপু আহমদ, কামরুল হাসান রাব্বি, অনিক আহমদ, সাংবাদিক সাজু, আনহার, নাজমুল তফজ্জুল প্রমুখ!
স্বাগত বক্তব্যে এস এম উমেদ আলী বলেন, জীবন গড়তে এবং জীবন সাজাতে গাছের বিকল্প নেই। গাছের গুরুত্ব ব্যপক। তেমনি এক গাছ হিজল করছ।এটি মাটি আঁকড়ে ধরে ভাঙন রোধে সাহায্য করে। এই গাছের বিশেষ গুন আছে যা পানির নিচে গেলেও গাছের কোন ক্ষতি হয় না। এবং তাড়াতাড়ি বিস্তার করে।আমাদের এলাকায় বর্ষায় ভাঙন আর জোয়ার ভাটার কারনে রাস্তা অবস্থা হয় বেহাল। যার কারনে প্রতিবছর বাধ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হয় সরকার ও জনতা। তাই এইবিষয়কে লক্ষ্য করে আমরা কুলঞ্জ অনলাইন গ্রুপের এডমিন আখলাক ভাইয়ের চেষ্টা সবার সম্মতিক্রমে এই উদ্যোগ নেই।
এ গ্রুপটাকে আজকের এই অবস্থানে দাঁড় করানোর জন্য গ্রুপের উপদেষ্টা এডমিন ও মডারেটর সহ সদস্যবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা ভাষায় প্রকাশ করার নয়!
মানবিক কাজে আপনাদের দান অনুদান ও শ্রমের প্রতিদান মহান আল্লাহ তায়ালাই দিবেন দুনিয়া ও আখেরাতে এবং কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন সাব্বির খানের জন্য সবার কাছে দুআ কামনা করেন, তিনি অনেকদিন যাবত অসুস্থ আছেন!

আখলাক হোসাইন বলেন,এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ আমরা দেখেছি প্রতিবছর বর্ষার সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বিশেষ করে বন্যা এবং উত্তাল ঢেউয়ে আমাদের এলাকার কাচা, আধাপাকা রাস্তা বিলিন হয়ে যায়।
সরকারের কোটি কোটি বরাদ্দকৃত নষ্ট হয় সামান্য ভারসাম্যহীনতার কারণে।তাই আমরা যদি সরকারের কাজে একটু সহযোগীতা করি তাহলে আমাদের এলাকার অবকাঠামোগত দিক দিয়ে মজবুত হবে। এবং এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভাঙন রোধে সহায়ক।

জানা যায়, হাওরের পরিবেশ বান্ধব ও ঢেউ থেকে সড়ক রক্ষায় যুগোপযোগী বৃক্ষ রোপন করচের চারা প্রথম পর্যায়ে রাড়ইল হতে মিলনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত, টংগর হতে বাজারের ব্রিজ পর্যন্ত, মিলনগঞ্জ বাজার থেকে তারাপাশা হয়ে জারলিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত। খেয়াঘাট থেকে নাচনী হয়ে হাতিয়া হাইস্কুল পর্যন্ত বৃক্ষ রোপন করা হয়।
কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপ সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি উন্নয়ন মূলক মেগা প্রকল্প রূপরেখা অনুযায়ী একের পর এক বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে!
এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন বঞ্চিত হাওর এলাকা বিশেষ করে কুলঞ্জ ইউনিয়নের প্রত্যেক সড়কে করচ গাছ রোপন করা হয়, হাওরের উত্তাল ঢেউ থেকে সড়ক সুরক্ষায় করচ গাছের বিকল্প নেই!

উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ১ অক্টোবর অনানুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপ!কুলঞ্জ ইউনিয়নের সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়!
এ আয়োজনটি সফল হওয়ায় অনুপ্রেরণা আরো বেড়ে যায়।
শীত মৌসুমে কুলঞ্জ ইউনিয়নের অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাড়ায় শীতবস্ত্র নিয়ে এ সামাজিক সংগঠন!
করোনায় বিগ বাজেটের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে দেশ ও প্রবাসে আলোচনায় আসে কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপ, যা সর্ব মহলে হয় প্রশংসিত!
কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপের পক্ষ থেকে জারলিয়া গ্রামে ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয় একটি গভীর নলকূপ।প্রায় ২৫ টি পরিবার স্বচ্ছ পানি পান করতেছে এ নলকূপ থেকে!
অনুন্নত ভাটি অঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত কুলঞ্জ ইউনিয়ন!দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি মুক্ত উন্নত টেকসই উন্নয়ন করতে উদ্দোগ নেওয়া হয় রচনা প্রতিযোগিতার!
উন্নয়নের জন্য প্রথমেই দরকার সৎ ও যোগ্য প্রার্থী, তাই প্রথমবার রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল —-
কেমন হওয়া চাই জনপ্রতিনিধি ও ভোটারের করনীয়!
দ্বিতীয় পর্যায়ে বিগ বাজেটে যা উপজেলা পর্যায়ে ও কেউ করতে পারেনি রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন, তা করেছে কুলঞ্জ ইউনিয়ন অনলাইন গ্রুপ!
২য় পর্বে রচনা প্রতিযোগিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল—
প্রতি বছরই উন্নয়ন খাতে প্রচুর বরাদ্দ আসছে,কিন্ত আমরা পাচ্ছিনা তার সুফল,হচ্ছেনা কাংখিত উন্নয়ন।
সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বৃক্ষ রোপন, খেলাধুলায় ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, কৃষকের ধান কাটা ও অসহায় পরিবারের চিকিৎসায় ও অর্থ প্রদান করা হয়, এছাড়াও মুমূর্ষ রোগীদের জন্য গ্রুপের পক্ষ থেকে রক্তদানের ব্যবস্থা করা হয়!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV