দোয়ারাবাজারে বিনা পরোয়ানায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গ্রেফতার: অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ওসি

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২১

দোয়ারাবাজারে বিনা পরোয়ানায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গ্রেফতার: অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ওসি

 

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বিনা পরোয়ানায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে গ্রেফতারের ঘটনায় অবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম। এরই মধ্য দিয়ে ৭২ ঘন্টার মধ্যেই অবসান হলো দোয়ারাবাজার উপজেলাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বিরাজমান অনাকাংখিত বিষয়টি।
রোববার সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দোয়ারাবাজার থানার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজির আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের, আমার পরিবারেও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রয়েছেন। তাই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে আটকের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের সাথে করমর্দন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মমিন,দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ হালিম( বীরপ্রতীক)বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ( বীর প্রতীক)বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রসিদ,সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর চন্দ্র সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য,গত ২৫ মার্চ বিকেলে বিনা পরোয়ানায় উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত খলিলুর রহমানের সন্তান আনোয়ার হোসেনকে একই ইউনিয়নের শুড়িগাঁও গ্রামের তার শ্বশুর কাঞ্চন মিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এস আই মিজানুর রহমান এসময় তার স্ত্রী এবং শাশুড়ির সাথে অশালীন আচরণ করে এসআই মিজানুর রহমান। পরের দিন ১৫১ ধারায় তাকে কোর্টে চালান দেয় দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৬ মার্চ দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলমের প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে মুক্তিযোদ্ধারা। মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামসহ ২৬ মার্চের সকল কমসূর্চি বর্জন করেন উপজেলার বিক্ষুব্ধ সকল মুক্তিযোদ্ধারা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV