সিলেটের পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করবেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব

প্রকাশিত: ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০

সিলেটের পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করবেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব

দিনরাত ডেস্কঃ পাথর কোয়ারি নিয়ে করণীয় নির্ধারণে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন সিলেট সফর করছেন। তিনদিনের সফরে সিলেটের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করবেন তিনি। আজ সকাল নয়টায় কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি পরিদর্শন, বিকাল তিনটায় গোয়াইনঘাটের প্রস্তাবিত ক্রাশার মেশিন জোন পরিদর্শন, সন্ধ্যা সাতটায় সিলেটে পাথর কোয়ারি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগদান করবেন। রবিবার বেলা ১১টায় কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি পরিদর্শনে করবে

আদালত ২০১৩ সালে ডাউকি নদীসহ ১৪.৯৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশ-সংকটাপন্ন (ইসিএ) ঘোষণা করে। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি গেজেট প্রকাশ করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তবে অদৃশ্য কারণে সেটি সিলেট পৌঁছায় ২০১৬ সালে। এতে যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল বা অন্য কোনো উপায়ে পাথরসহ সব ধরনের খনিজ পদার্থ উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়। বাস্তবায়ন কমিটি একের পর এক বৈঠক করে ২০১৭ সালের শেষদিকে এসে সীমানা চিহ্নিত করার মধ্য দিয়েই দায়িত্ব শেষ করা হয়।

কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে বন্ধ ছিল না অবৈধ পাথর উত্তোলন। তবে এবছর থেকে সরকার পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। উচ্চ আদালতও এ বিষয়ে চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপর থেকে পাথর কোয়ারি রক্ষা করে সিলেটের পরিবেশকে বাঁচাতে সিলেটের প্রশাসনও আন্তরিক হয়ে ওঠে।

সিলেটের জাফলংসহ প্রত্যেকটি এলাকাতেই রয়েছে বিশাল পাথরখেকো বাহিনী। তারা প্রায়ই পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন জমানোর চেষ্টা করে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়া করে শ্রমিক জড়ো করে মিডিয়াতে প্রচার করার চেষ্টা করে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক অনাহারে রয়েছে বলেও মিথ্যা প্রচারণা চালায়। প্রায়ই সংবাদ সম্মেলন করে শ্রমিকদের নাম করে।

বছরের পর বছর ধরে নিয়ম নীতি পাশ কাটিয়ে প্রশাসনও আদালতকে বিভ্রান্ত করে দির্ঘদিন ধরেই এই চক্র সক্রিয় ছিল। তাদের কারণে সিলেটের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি লুটপাটের ফলে পরিবেশে ঘটে গেছে বিপর্যয়। পাথর উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়ে এ অঞ্চলের পরিবেশ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV