সিলেট ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
দৈনিক দিনরাত:
দেশে চা উৎপাদনে আবার সুসময় ফিরেছে। চলতি বছর বেশির ভাগ সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। পাশাপাশি চায়ের দাম ভালো থাকায় মালিকরাও বাগানের ভালো যত্ন নিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বিশ্বে চাহিদা বেড়েছে বাংলাদেশের চায়ের।
গত অর্থবছরে যেখানে বেশির ভাগ পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে, সেখানে এ পণ্যটির আয়ে বছরজুড়েই ছিল ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি। শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে চা রপ্তানিতে রেকর্ড পরিমাণ ১০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জুলাইয়ে পণ্যটির রপ্তানির টার্গেট ধরা হয়েছিল দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলার। মাস শেষে হিসাব করে দেখা গেছে দশমিক ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে চা রপ্তানি করে। কারণ কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে চা একটি গুরুত্বপূর্ণ পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বে চা রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত বড় ভূমিকা রাখলেও করোনার কারণে দীর্ঘ সময় লকডাউনে থাকায় দেশটির চা বাগানগুলো থেকে চা পাতা তোলা হয়নি। ফলে পাশের দেশটিতে অভ্যন্তরীণভাবেই চায়ের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চায়ের চাহিদা বেড়েছে অনেক দেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইরান, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চা রপ্তানি হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনাকালে যে ১৬টি পণ্য প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইতিবাচক রপ্তানি আয় ধরে রেখেছে তার মধ্যে চায়ের অবস্থান অষ্টম। চা উৎপাদনে ১৬৫ বছরের রেকর্ড রপ্তানি হয়েছে। দেশে চা শিল্পের ইতিহাসে এর আগে কখনই এত পরিমাণ চায়ের উৎপাদন হয়নি। উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা। দেশে পণ্যটির প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। বাগানগুলোর মানোন্নয়নের মাধ্যমে আরও বেশি চা উৎপাদনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সংগ্রহীত
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- 01712-174796
বার্তা সম্পাদকঃ- জাকারিয়া হোসেন জোসেফ
মোবাঃ- 01744-420000
ইমেইলঃ- dailysylheterdinrat24@gmail.com
২২৯ এক্সেল টাওয়ার ২য় তলা সুবিদ বাজার, সিলেট।
Design and developed by RJP IT