সিলেট ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব এলাকায় পানি কমতে থাকায় ঘরবাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন বানভাসিরা। তবে ব্যাপক ফসলহানি ও গো-খাদ্যের সংকটের কারণে নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বন্যার্তরা। সামনে কোরবানির ঈদ থাকায় পশুখাদ্যের সংকটে অনেকে তাদের পশু বিক্রি করতে হাটে তুলছেন। তবে ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি থাকায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা এখনো বাড়েনি।
এদিকে বন্যায় বসতভিটার ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা বন্যাকবলিতরা।
অনেকেই মাচা তৈরী করে কষ্ট থাকছেন, আবার অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছেন ও স্থানে তার উপর রয়েছে।
নিজের গৃহপালিত হাসঁ-মুরগি ও গরু-ছাগলের এর জন্য চিন্তা কোথায় রাখবেন খুবই ঝামেলায় পড়েছেন এইসব সমস্যা নিয়ে বন্যার্তরা।
কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন গবাদিপশু নিয়ে আমরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছি, কেউ আবার হাইওয়ে সড়কে ও গরু নিয়ে পাহারা দিয়ে রাখছেন। এসব জায়গায় চুরির ও ভয় রয়েছে।
ইনাত নগর গ্রামের কৃষক ইমাম উদ্দিন বলেন, গরুর খড় নাই, সংগ্রহ করা গো-খাদ্য নষ্ট হয়েগেছে। বন্যার কারনে গরুর খাদ্য নিয়ে সংকটে পড়েছি,এখন কচুরিপানা খাইয়ে রাখছি।
আরো বলেন বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে মাটি ভেজা স্যাতঁ স্যাতেঁ ভাব থাকায় গবাদিপশু রাখা যাচ্ছে এতে গবাদি পশুর পায়ে খোরার ঘাঁ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যার কারণে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে কেনাবেচা নেই বললেই চলে। বন্যাদুর্গত এলাকার গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন দ্রুত গরু বিক্রি করতে। অন্যদিকে ক্রেতারা চাচ্ছেন আগে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তারপর গরু কেনা যাবে। এ অবস্থায় হাটগুলোতে গরুর সংখ্যা বাড়লেও ক্রেতা তেমন একটা নেই। তাই বেচাকেনাও হচ্ছে খুব সামান্য।
উপজেলার দর্গাপাশা ইউনিয়নের আমির ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে গরুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আশা ছিল এবার ঈদে ভালো দাম পাবো। কিন্তু বন্যার কারণে আশানুরুপ দাম পাচ্ছি না। আবার গরুর বাসস্থান ও খাদ্য মজুদ করতে ও হিমশিম খাচ্ছি।
পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী আঃ রজাক বলেন, এইবছর বন্যার কারণে গরু বেচাকেনায় সুবিধা করা যাচ্ছে না। একে তো ক্রেতার সংখ্যা কম তার ওপর আবার গরু কিনে রাখার মত আবাসস্থল নেই। তার ওপর গো খাদ্যের সংকট। সব মিলিয়ে এ বছর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই চরম বিপাকে রয়েছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুকুমার চন্দ্র দাস জানান, এবছর বন্যায় প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন গো-খাদ্য নষ্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তত করে জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগে পাঠানো হবে এবং সরকারের নিকট ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক প্রণোদনার সুপারিশ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- 01712-174796
বার্তা সম্পাদকঃ- জাকারিয়া হোসেন জোসেফ
মোবাঃ- 01744-420000
ইমেইলঃ- dailysylheterdinrat24@gmail.com
২২৯ এক্সেল টাওয়ার ২য় তলা সুবিদ বাজার, সিলেট।
Design and developed by RJP IT