ড্রোন ফোর্সে নতুন পরাশক্তি তুরস্ক
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কোনো যুদ্ধবিমান এখন পর্যন্ত তৈরি করেনি তুরস্ক। তবে কাছাকাছি ধরনের এক যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরি করছে তারা। এটি হলো- ড্রোন। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে তুরস্কের তৈরি এসব ড্রোন।
মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট জানায়, সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে তুরস্ক। তারা এগুলোর ব্যবহারকারী ও বিক্রেতা। নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তুরস্কের এসব ড্রোন এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
তুরস্কের কয়েক ধরনের ড্রোন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো- আঙ্কা-এস। ২০১৩ সালে এটি তৈরির কাজ শুরু হয়। এরপর ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো এই ড্রোন ব্যবহার করে তুরস্ক।
আঙ্কা-এস নামের ড্রোনটি ২৬ ফুট লম্বা। এটি ৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত অস্ত্র বহন করতে পারে। এটি ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় একটানা আকাশে উড়তে সক্ষম এবং এটি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া যায়। সবমিলিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা আদায় করতে সক্ষম এই ড্রোন।
হিসাব বলছে, বর্তমানে তুর্কি সামরিকবাহিনীর কাছে বিভিন্ন মডেলের ১৩০টিরও বেশি ড্রোন রয়েছে। বিশাল সংখ্যক এই ড্রোনের সমন্বয়ে শক্তিশালী এক ফোর্সে পরিণত হয়েছে তুরস্ক। এরই মধ্যে আঙ্কারা তাদের ড্রোন ফোর্সের ক্ষমতাও দেখিয়েছে। সিরিয়া অভিযানে তুর্কি ড্রোন ফোর্সের হামলার মুখে পিছু হটেছে শক্তিশালী রাশিয়াও।
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তুর্কি এই ড্রোন ফোর্স দেখে বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ড্রোন ফোর্স রয়েছে তুরস্কের। তাদের এই ফোর্স যে কোনো সময় যুদ্ধ পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। ড্রোন ক্ষমতায় শীর্ষে থাকার কারণে অনেক দেশই এখন আঙ্কারাকে সমীহ করে চলবে।
এ দিকে তুর্কি ড্রোনের কার্যকারিতায় মুগ্ধ হয়ে দেশটি থেকে ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিউনিসিয়া। তারা এরই মধ্যে ২৪০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিও করেছে। চুক্তির আওতায় ৬টি ড্রোন ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম পাবে তিউনিসিয়া।