সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২১
ফাহিমা বেগম,স্টাফ রিপোর্টারঃদেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম দিন সকালে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।টিকা নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ড এবং জন্মনিবন্ধন নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক। তবে প্রথমে রাজধানীর ১২টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার কথা জানানো হলেও পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় চারটি বাতিল করা হয়েছে। আজ একটি কেন্দ্রে টিকা শুরু হওয়ার পর আগামীকাল থেকে ৮টি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হলো হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ফাইজারের এই টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে এই টিকা সংরক্ষণে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহনের জন্য প্রয়োজন হয় থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান। ফলে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসি রুম রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
ডা. শামসুল হক বলেন, এই কার্যক্রমে এমন স্কুলগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ছাড়াও তার আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে পারবে। এই টিকা তৈরি করা জন্য যে ডায়লুয়েন্ট লাগে সেটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখতে হয়। এ দুটি বিষয় বিবেচনা করে যেখানে আমাদের এই সুযোগ আছে সেই স্কুলগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ২৫টি বুথ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, প্রতিদিন যেন ৪ থেকে ৫ হাজার শিশুকে টিকা দিতে পারি। তবে পরবর্তীতে ঢাকা শহরসহ আরও প্রায় ২২টি জেলায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে প্রতিটি জেলায় এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই বয়সী শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাই জন্মনিবন্ধন ব্যবহার করে তারা নিবন্ধনের আওতায় আসবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জন্মনিবন্ধনের তালিকা আইসিটি বিভাগকে পাঠাবে। আইসিটি বিভাগ সঠিক করে দেখে আমাদের সুরক্ষা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। তখন প্রতিটি অভিভাবক অথবা স্কুল কর্তৃপক্ষ সুরক্ষার অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করবেন। আর শিশুটি যেদিন টিকা নেবে সেদিন তার নিবন্ধন কার্ড এবং জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি নিয়ে স্কুলে আসতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো টিকা দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা নিলে আমরা তাদের সার্টিফিকেট দিতে পারব না। তবে বেশ কয়েকটি স্কুলের অভিভাবকরা বলেন, স্কুল থেকে জন্মনিবন্ধন নম্বর নিলেও এখনো সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারছেন না তারা। মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, টিকা দেওয়া শুরু হওয়ায় স্কুল থেকে দ্রুত নিবন্ধন করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সুরক্ষা অ্যাপে জন্মসনদ নম্বর দিলে তারা পুনরায় চেষ্টা করতে বলছে। শুধু আমার মেয়ে না এই স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই সমস্যায় পড়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- ০১৭১২ ১৭ ৪৭ ৯৬
ইমেইলঃ- newssylbangla@gmail.com
রংমহল টাওয়ার ৪র্থ তলা বন্দর বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D