শাল্লায় স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়ম,ঠিকাদার বললেন,সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব আমরা চালাই,নেতা-নেত্রী সঙ্গে নিয়েই চলি

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২৫

শাল্লায় স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়ম,ঠিকাদার বললেন,সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব আমরা চালাই,নেতা-নেত্রী সঙ্গে নিয়েই চলি

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের শাল্লায় ভবন নির্মাণের কাজ চলছে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাঁদ ডালাইয়ের কাজে নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহারের তথ্য পেয়ে প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গণমাধ্যম কর্মীরা।

সরেজমিনে সেখানে ঠিকাদারকে না পেয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ঠিকাদার নজরুল মিয়ার সাথে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আপনারা পেপার কটিং করলে চিন্তা কইরা কইরেন। আমরা বর্তমান জগতের বাহিরে না। আমরা দেশ চালাইবার চেষ্টা করতাছি। সরকারের স্বার্থে সরকাররে সাহায্য করতাছি। সারা দেশজুড়েই হৈহল্লা চলতেছে। একটা বিষয়ের উপরে নিউজ কইরা দিবেন?বর্তমান সময় তো খুব কঠিন। সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব আমরা চালাই। হেই পরিচয় দেওয়ার দরকার নাই। নেতা-নেত্রী নিয়াই চলতাছি। আফনেরে আমি এটাই বুঝাইতে চাইতেছি।

এর আগে উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে ভবন নির্মাণ কাজে দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন ইন্জিনিয়ারের নির্দেশেই আমরা কাজ চালাচ্ছি। ইন্জিনিয়ার বলার পরেই-তো আমরা কাজ চালাচ্ছি। ইন্জিনিয়ার তো এখানে উপস্থিত আছেই। কিন্তু উপস্থিত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার রায় বলেন এই কাজে ব্যবহ্রত বালু আমরা টেস্ট করিনি। টেস্ট করার আগেই তারা কাজ চালিয়ে দিচ্ছে। এদিকে কাজে থাকা একাধিক শ্রমিক জানিয়েছেন বালু ও পাথরে সমস্যা ধরা পড়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এর বেশ কয়েকটি দিন আগেও সরকারি প্রকৌশলী দ্বারা রিজেক্ট করা ৮ হাজার ফুট বালি দিয়ে ছাঁদ ডালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ দুলালকে উপস্থিত না পেয়ে ফোন করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।

বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের খবর পেয়েছি। সঠিকভাবে উন্নত মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,বিষয়টি আমি জানি। আরো দু’জন সাংবাদিক ফোন দিয়েছিল। নিম্ন মানের সামগ্রী বয়বহার হয়ে থাকলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। ওই বালির সেম্পল এলজিইডি অফিসে পাঠানোর জন্য বলেছি। সাংবাদিকের সাথে ঠিকাদারের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, উনার কথা উনি বলেছে। এরকম কথা তিনি বলতে পারেন না। এধরনের কথা বলা উচিত নয়। তিনি বলেন আমরা এগুলোতে নেই। আমরা ভালো কাজ করতে চাই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV