সিলেট ১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২৫
ডেস্ক নিউজঃ
ওজন কমাতে গ্রিন টি দারুণ জনপ্রিয়। স্বাদের বিচারে হয়তো অনেকেই এই পানীয়কে খুব একটা এগিয়ে রাখবেন না, তবে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ গ্রিন টি গ্রহণ করেন এর গুণের জন্যই। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, সত্যিই কি গ্রিন টি গুণে ভরপুর?
গ্রিন টিতে থাকে পলিফেনল নামের বিশেষ উপাদান, যা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গ্রিন টি থেকে যতটা উপকার মেলে, তার বেশির ভাগই পাওয়া যায় এই উপাদানটির কারণে। তবে এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন, এক কাপ গ্রিন টি তৈরি করা হলে তাতে এতটাও বেশি পরিমাণে পলিফেনল থাকে না, যা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে কেবল এক কাপ গ্রিন টি পান যথেষ্ট নয়। এমনটাই বলছিলেন টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান।
গ্রিন টি সরাসরি আপনার ওজন কমাবে না। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে বাড়তি মেদ ঝরে যাবে, এমনটা ভেবে নেওয়া যাবে না। গ্রিন টি আমাদের বিপাক হার বাড়ায়। অর্থাৎ ক্যালরি পোড়ানোর কাজটা ত্বরান্বিত হয় গ্রিন টির প্রভাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে শরীরচর্চা করতেই হবে। গ্রিন টি কখনোই শরীরচর্চার বিকল্প নয়। তবে রোজ এই পানীয় পান করলে আপনার শরীরচর্চাটা আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠবে। গ্রিন টি পান করলে বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতাও কমে। বুঝতেই পারছেন, সব মিলিয়ে ওজন কমাতে গ্রিন টি একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মারাত্মক কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে
নিয়মিত গ্রিন টি পান করা হলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এসব রোগের ঝুঁকি কমে যায়। অনেকেই কম বয়সে এসব মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন। তাই সচেতনতা প্রয়োজন সবারই। অন্যান্য অনেক পানীয়ের চেয়ে গ্রিন টি অনেক বেশি নিরাপদ।
সতেজতার আমেজ
যেকোনো চা পান করলেই আপনি সতেজ অনুভব করেন। গ্রিন টিও এর ব্যতিক্রম নয়। নির্দিষ্ট কাজে মনস্থির করতে ও লম্বা সময়ের জন্য মনোযোগ ধরে রাখতে গ্রিন টি দারুণ উপকারী।
ত্বক ও চুলের সুস্থতায়
বয়সের ছাপ এড়াতে সাহায্য করে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় উপাদান। অন্যদিকে আবার প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে গ্রিন টি।
কতটা গ্রিন টি চাই রোজ?
গ্রিন টির অধিকাংশ উপকার পেতে আপনাকে রোজ অন্তত চার কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে। অন্যান্য চা দু–এক কাপের বেশি পান করা বারণ হলেও অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্যই চার থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান ক্ষতিকর নয়।
কীভাবে পান করবেন, কখন
গ্রিন টি পানের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে ও পরে কোনো না কোনো খাবার খাওয়া উচিত। ধরুন, আপনি সকাল সাতটায় নাশতা করেছেন। তাহলে সকাল ৯টায় আপনি দুই কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন। বেলা ১১টা নাগাদ আপনাকে আবার হালকা খাবার খেয়ে নিতে হবে। আবার দুপুরের খাবার খাওয়ার দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পরেও আপনি চাইলে দুই কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টি পানের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর আবার আপনাকে হালকা খাবার খেতে হবে। খালি পেটে গ্রিন টি পান করা একেবারেই অনুচিত। নিয়ম না মেনে গ্রিন টি পান করলে আপনি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, টি ব্যাগের চেয়ে শুকনা পাতা দিয়ে গ্রিন টি বানিয়ে পান করা বেশি ভালো। শুকনা পাতা থেকে গ্রিন টি তৈরি করা খুবই সহজ। ১০০ মিলিলিটার গরম পানিতে আধা চা–চামচ শুকনা গ্রিন টি ছেড়ে দিয়ে ঢেকে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর তা একটু নেড়ে খেয়ে নিতে পারবেন আপনি।
গ্রিন টি গ্রহণে যে ভুল করা যাবে না
স্বাদ বাড়াতে চিনি বা মধুর মতো কোনো উপকরণ এতে যোগ করবেন না। যেকোনো পানীয়ে নিয়মিত চিনি যোগ করে পান করলে আপনার ওজন বাড়বে, আরও বাড়বে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। মধু বা গুড়ও চিনির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। তাতেও লাভ নেই। তা ছাড়া বাদামি চিনি কিংবা আর্টিফিশিয়াল সুইটনারও চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়। তাই এসব উপকরণও যোগ করবেন না কোনো পানীয়তে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- 01712-174796
বার্তা সম্পাদকঃ- জাকারিয়া হোসেন জোসেফ
মোবাঃ- 01744-420000
ইমেইলঃ- dailysylheterdinrat24@gmail.com
২২৯ এক্সেল টাওয়ার ২য় তলা সুবিদ বাজার, সিলেট।
Design and developed by M-W-D