সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২০
তাহিরপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সীমান্তের এলাকায় পর্যটন স্পট রূপের নদী যাদুকাটার দুই তীরকেটে ও তীর সংলগ্ন সরকারি খাস আবাদি জমিতে শতশত ফুট র্গতকরে কোয়ারীর মাধ্যমে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলণ আর বিক্রির মহাউৎসব। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা শর্তেও তা ওপেক্ষা করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাতের আঁধারে ও দিনে দুপুরে ওই রকম পরিবেশ ধ্বংস যজ্ঞের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি সংজ্ঞবদ্ধ বালু ও পাথর কেখো চক্র। চক্রটি দিনে ও রাতের আঁধারে নদীর তীর কেটে ও কোয়ারীর নাম করে নদীর তীরের জমি থেকে বালু ও পাথর বিক্রি করছে দিনের পর দিন। মাঝেমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে নিরীহ শ্রমিকদের নৌকাসহ অাটক করে জেল জরিমান করলেও নদীর তীর কাটার সাথে জড়িত বালু খেকো চক্রের গডফাদাররা। ফলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ফাজিলপুর কোয়ারী বাদাঘাট ইউনিয়নের পাহাড়ি নদী যাদুকাটার র্দীঘ ২৩ কিলোমিটার এলাকার ফাজিলপুর থেকে লাউড়েরগড় অংশের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড়, ছড়ারপাড়, ডালারপাড়, গাঘটিয়ার বড়টেক বিন্নাকুলি, কাইলকাপুর. মোদেরগাঁও, গরকাটি, গাঘড়া, পাঠনপাড়া, কুনাটছড়া ও সোহালা গ্রামসহ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারছড়, সত্যিস, আমড়িয়া, সিরাজপুর, বাগগাঁও মনবেঘসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাম এলাকায় ইতি মধ্যেই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কয়েক বছর যাবৎ যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু-পাথর উত্তোলণ করে বিক্রি করার কারণে অতিথের ছেয়ে যাদুকাট নদীর প্রশস্ত হয়েছে প্রায় ৫ গুনের ছেয়েও বেশি । যার ফলে নদীর পাড়ের সরকারি (স্কুল)শিক্ষা প্রতিষ্টান, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, আবাদি জমি রাস্তা-ঘাট সহ ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিশ্ব হয়ে পড়ছে নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আর প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু ব্যবসায়ীরা ও নদীর পাড়ের দাবিদার জমির মালিকরা হচ্ছে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
অভিযোগ উঠেছে, স্থাননীয় একটি প্রভাবশালী বালু খেকো চক্র ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় পরিবেশের কোন তোয়াক্কা না করেই দিনেদুপুরে ও রাতের আধাঁরে বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে যাদুকাটা নদীর উপর এরকম “মানুষ রূপী দানবে তান্ডর” আর ক্ষত ভিক্ষত যাদুকাটার বুক। জানাযায়, যাদুকাটা নদীর বড়টেক এলাকায় নদীর তীরকাটা ও নদীর তীরের জায়গা দখল নিয়ে বিগত দিনে বেশ কয়েকটি সংর্ঘষ, মামলা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ যুবকের আঙ্গুল কেটে ফেলাসহ সম্প্রতি গত ৩ র্মাচ মঙ্গলবার ২০২০ ইং সকালে বড়টেক এলাকায় যাদুকাটা নদীর তীরের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে আপন চাচাত বড় ভাই গোলাম কাদিরের হাতে খুন হয় ছোট ভাই ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে শাহীদ নুর(১৭)। তার পরও কোন এক অদৃশ্য কারনে বন্ধ নেই যাদুকাটা নদীর তীরকাটা ও নদীর তীর সংলগ্ন জমি থেকে কোয়ারী নাম করে বালু-পাথর উত্তোলণ ও বিক্রি।
অভিযোগে আরও জানাযায়, ওই প্রভাবশালী বালু খেকো চক্রটি স্থানীয় এক ক্ষকিপয় সাংবাদিককে নদীর পাড় কাটার সিন্ডিকেটের প্রধান বানিয়ে প্রতি রাতেই সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত যাদুকাটা নদীর তীর কেটে চালিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ ফুট বালু বিক্রির ধ্বংস লীলা। ওই চক্রটি প্রতি রাতেই ৫শ থেকে ১ হাজার ফুট ধারণকৃত প্রায় এক থেকে দেড় শতাধিক নৌকা দিয়ে যাদুকাটা নদীর পশ্চিম পাড়ের মানিগাঁও শিমুল বাগান, ভাঙ্গার খাল নদীর মুখ, বড়টেক পাক্কা রাস্তার মাথা, আদর্শ গ্রাম সরকারি পুকুর পাড়, জালর টেক, শিয়ালের টেক , বড়ই গ্রাছের পাড় এলাকায় তীরকেটে বালু-পাথর বিক্রি করছে তীর কাটা মামলার আসামী ঘাগটিয়া আদর্শ গ্রামের গডফাদার মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ আলী(৪৯), মৃত হাজী মনা মিয়ার ছেলে খাইরুল আমিন(৩৫), ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আলিম উদ্দিন(৫০), তার সহযোগী সাইফুউদ্দিন(৩৬), মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে দীন ইসলাম(৩৫), মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে তাজুল ইসলাম(৪৮) ওরোপ মড়ল, চাঁন মিয়ার ছেলে সামসু আলম(৪৫), তার ভাই মুস আলশ(৩৬), নুর জামাল(৪৫), জাহাঙ্গীর(৪৭), আব্দুল্লাহ(৫০), তার ভাই আব্দুল হান্নান(৩৬), আল আমিন(৩০), রাহাজ উদ্দিন(৩৬), ইরফান(৪), আলমগীর(৪৭), সাহাব উদ্দিন(৩৫), হবিবুর(৫১)। এবং র্পূব পাড়ের লাউড়েরগর খেয়া ঘাটের দক্ষিণে ডালার পার, জামালের ছড়, লামাশ্রম ও বিন্নাকুলী এলাকায় নদীর তীরকেটে ও নদীর তীঁর সংলগ্ন আবাদি জমিতে কোয়ারী করে উত্তোলণ ও বিক্রি করছে নয়ন মিয়অ(৪৫), সুমান মিয়া(৩৫), জামাল মিয়া(৪৮)সহ বেশ কয়েকজন। অভিযোগ উঠেছে, এর জন্য প্রতিফুট বালূ থেকে পুলিশ সাংবাদিকের নামে চাঁদা নেয়া হচ্ছে ২ টাকা করে। এই অসাধু বালু ও পাথর খেকো সিন্ডিকেট বছরের পার বছর গিলে খাচ্ছে নদীর তীর ও তীর সংলগ্ন আবাদি জমি। এ যেন দেখার কেউ নেই! ঘটাচ্ছে পরিবেশের মারার্তক বির্পযয়।
গতকাল ৫ অক্টোবর সোমবার বিকালে সরেজমিনে যাদুকাটা নদীর বড়টেক ও শিয়ালের টেক গিয়ে এর তথ্য চিত্র সংগ্রহ করার সময় নদীর তীর কাটার গডফাদার তাজুল ইসাম আর দ্বীন ইসলামের তোপের মুখে পরতে হয় এই প্রতিবেদককে। এসময় তারা বলেন , আমরা পুলিশক সাংবাদিককে দিয়েই এসব করি। কত সাংবাদিক এই নদীত আর বরটেক(বড়টেক) আইল গেল কেই নদীর পাড় কাটা আর কোয়ারীত বন্ধ করতায় পারলনা।
জানাযায়, নদীর তীরকাটা ও নদীর তীরের আবাদি জমিতে কোয়ারী বন্ধের এ বিষয়ে বিগত ১৭ জানোয়ারী ২০১৮ ইং ঘাগটিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম যাদুকাট সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এবং গত ২০ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে কুনাটছড়া গ্রামের মোঃ গোলাপ মিয়া নদীর পাড় রক্ষার দাবিতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর আরও একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এবং গতকাল সোমবার সরাদিন মাইকিং করে যাদুকাটা নদীসহ তাহিরপুর উপজেলার সকল নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলণ নিশিদ্ধ ঘোষনা করেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(র্ভাপ্রাপ্ত) সৈয়দ আমজাদ হোসেন। শুধু তাই নায়! বিগত কয়েক বছরে ১৯৭৪ ইং সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১) এর ঙ ধারায় তাহিরপুর থানায় যাদুকাটা নদীর তীর কাটার বিরোদ্ধে বেশ কয়েকট।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (ডালিম)
মোবাঃ- 01712-174796
বার্তা সম্পাদকঃ- জাকারিয়া হোসেন জোসেফ
মোবাঃ- 01744-420000
ইমেইলঃ- dailysylheterdinrat24@gmail.com
২২৯ এক্সেল টাওয়ার ২য় তলা সুবিদ বাজার, সিলেট।
Design and developed by RJP IT