নতুন রূপে সিলেটের ওসমানী জাদুঘর

প্রকাশিত: ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০

নতুন রূপে সিলেটের ওসমানী জাদুঘর

দিনরাত সংবাদঃ নতুন রূপে সেজেছে সিলেটের ওসমানী জাদুঘর। নব নির্মিত দৃষ্টি নন্দন প্রধান ফটক আর সীমানা প্রাচীর ঘেরা জাদুঘরটিতে ঢুকলেই নিঃসন্দেহে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে। দীর্ঘদিন অবহেলিত আর প্রচার বিমুখ থাকা জাদুঘরের নতুনত্ব দৃষ্টি কাড়ছে দশনার্থী ও পর্যটকদের। জাদুঘরের প্রত্যেকটি গ্যালারী ঘুরে দেখতে দেখতে আপনি চলে যাবেন ইতিহাসের পাতায়। ইতিহাসের এই মহা নায়কের সাধারণ জীবনাচার আপনাকে নিয়ে যাবে ভাবনার জগতে।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর স্মৃতি রক্ষার্থে সিলেটের ধোপাদিঘির পাড় এলাকায় ‘নুর মঞ্জিল’ নামে ওসমানির বাসস্থানে ১৯৮৭ খিষ্টাব্দে জাদুঘরটি প্রতিষ্টিত হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৭ খিষ্টাব্দের ৪ মার্চ জাদুঘরটি আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও প্রচার প্রচারণা ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি জাদুকরটি। সিলেটের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক জানার বিষয় থাকলেও সব সময় তা রয়ে যায় অনেকটাই অগোচরে ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাদুঘরটিকে জাতীয় জাদুঘরের আওতায় নিয়ে উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। সরকারি ভাবে সহকারি কিপার নিয়োগ দেয় জাতীয় জাদুঘর। কিপার নিয়োগের পর থেকে যাদুঘরের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মান করে আলোকসজ্জা করে।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র ধোপাদিঘির পাড় এলাকায় প্রতিষ্টিত জাদুঘরটির উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সিলেট সিটি কর্পোরেশনর সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

জাদুঘর সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর অসামান্য অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক এই জাদুঘরটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালিত হয়।

নূর মঞ্জিল হচ্ছে পাশের এবং কিছু কক্ষ সমেত টিনের-চালার একটি বিশাল ভবন যার সামনে একটি বারান্দা রয়েছে। জাদুঘরে পৌঁছানোর জন্য প্রধান গেট থেকে মাত্র কয়েক মিটার হাঁটতে হয়। প্রবেশকক্ষে দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানাতে জেনারেলের বিপুল প্রতিকৃতি রয়ছে। অতিথিদের স্বাগত জানানোর জন্য অভ্যর্থনাকারীরা রয়েছেন। অভ্যর্থনা কক্ষে একজন দর্শনার্থীদের নাম এবং ঠিকানা লিখায় নিয়োজিত থাকেন। প্রবেশকক্ষে বসার জন্য একটি মানানসই জায়গায় রয়েছে। ঐতিহাসিক এই জাদুঘরটিতে তিনটি গ্যালারী আছে, যেখানে জেনারেল ওসমানীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঐতিহাসিক আলোকচিত্র সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে।

ওসমানী জাদুঘরের সহকারী কিপার লিয়াকত হোসেন সিলেট প্রতিদিনকে জানান জাদুঘরের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সিসিক আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটা সময় এটিকে একটা বাড়ির মতো দেখাতো, এখন দৃষ্টি নন্দন প্রধান ফটক নির্মাণের ফলে যাদুঘরের সৌন্দয্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, জাদুঘরে যাতে দশনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV