সুনামগঞ্জ সীমান্তে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও,মানছেনা বালু খেকোরা

প্রকাশিত: ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও,মানছেনা বালু খেকোরা

তাহিরপুর প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ঢলে উজান থেকে নেমে আসা বালু মড়া পাথর ও চুনাপাথর উত্তোলন ও বিক্রি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেনা স্থানীয় একটি বালু খেকোরা।

তারা উপজেলা শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের নয়াছড়া, বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া, লাকমা, চারাগাঁও, কলাগাঁও রন্দুছড়া সহ বিভিন্ন সীমান্তছড়া দিয়ে ভারতের মেঘালয় হতে ভেসে আসা কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বালু, মড়া পাথর ও চুনাপাথর উত্তোলন করে শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের পাটলাই নদী সংলগ্ন মন্দিয়াতা, মদনপুর, নবাবপুর,নয়াবন্দ, দলইড়গাও,এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখছে। কেউ বা আবার স্টিলবডি নৌকাযোগে বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে।

জানাযায়,এসব বালুপাথর (খনিজসম্পদ)বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) মো.জাফর উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক স্বারকে এসব বালুপাথর উন্মুক্ত নিলামের আহবান করেছিলেন উপজেলা প্রশাসন।

কোটি টাকা মূল্যের এসব খনিজসম্পদ বালু,মড়া পাথর ও চুনাপাথর।উন্মুক্ত নিলামে বিক্রয় করার জন্য উপজেলার টেকেরঘাট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়ে গত ২৭,শে জুলাই আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী কুচক্র মহল এলাকার সরলমনা মানুষদের ভুলবাল বুঝিয়ে কৌশলে উন্মুক্ত নিলাম প্রত্যাখ্যান করে।

স্থানীয় প্রশাসনের চোখের আড়ালে,সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দিনে-দুপুরে উপজেলা সীমান্তের বিভিন্ন ছড়া হতে বালু উত্তোলন করে প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে বালু ও মরা পাথর স্তুপ করে রেখে, দেশের বিভিন্ন স্থানে অবাধে পাচার করে আসছে, উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের চোরাকারবারী বদিউজ্জামান ও পার্শ্বভর্তী গ্রামের কামাল মিয়া সহ নাম না জানা অনেকেই ।

বালু উত্তোলন করে স্তুপ ও বিক্রিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ররেছে,প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন স্তুপ ও বিক্রি করতেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নবাবপুর গ্রামের বদিউজ্জামান অনেকটাই দেমাকের সাথে বলেন হ্যা আমি বালু উত্তোলন করতেছি,প্রশাসন নিষেধ করুক প্রশাসনের লোক এসেছিল,আমাদের নাম নিয়েছে।পার্শ্বভর্তী গ্রামের কামাল মিয়া একই সুরে একই কথা বলে।

এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, বালু উত্তোলন ও বিক্রি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ বিষটি আমি দেখবো।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮বিজিবি) অধিনায়ক মো:মাকসুদুল আলম বলেন আমার সীমান্ত এলাকার বর্ডার হতে তিনশত গজের ভিতরে আমরা বালু উত্তোলন করতে দিচ্ছিনা এর বাহিরে কি হচ্ছে আমার জানা নেই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV