টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে ইউপিজি

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৫

টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে ইউপিজি

শাবি প্রতিনিধি

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস গ্লোবাল (ইউপিজি) বিশ্বব্যাপী তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ২০২৫ সালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সামাজিক সমতার ক্ষেত্রে তার অবদান অতুলনীয় হয়ে উঠেছে। ইউপিজি সাস্টেইনেবিলিটি লিডারশিপ প্রোগ্রাম ২০২৫ এর মাধ্যমে তরুণদের নেতৃত্ব দক্ষতা উজ্জ্বল করা হচ্ছে এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগকে গতিময় করা হচ্ছে, যা বিশ্বের প্রতিটি কোণে টেকসই পরিবর্তনের আলোকপ্রায়ণে পরিণত হচ্ছে।

ইউপিজি’র প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি ইয়েমি ব্যাবিঙ্গটন-অশায়ে এই সংগঠনকে তরুণদের সামাজিক বিপ্লবের অগ্রদূত হিসেবে গড়ে তুলছেন। ১৪০টির বেশি দেশে কার্যক্রম বিস্তার করে, ইউপিজি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজকেন্দ্রিক প্রকল্প চালাচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রতিযোগিতামূলক সেশনে ১৩,০০০-এর বেশি তরুণ আবেদন করেন, যারা ভিডিও প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেশন এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে বৈশ্বিক পরিবেশনের মঞ্চে উঠে আসছেন।

বাংলাদেশ থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রুহিল মাদিনী মিম এই প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হয়েছেন। তিনি সিনিয়র হাবিবুর রহমান মাসরুর’র পরামর্শে ইউপিজি’র সাথে যুক্ত হয়ে নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।

রুহিল বলেন, “রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞানের পড়াশোনা আমাকে ইউপিজি’র লক্ষ্যে আকৃষ্ট করেছে। আমি আমার সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে তাদের জীবনে টেকসই পরিবর্তন আনতে চাই।” ইতোমধ্যে রুহিল সিলেট বিভাগের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে সচেতনতামূলক মিনি ট্রেনিং সেশন পরিচালনা করে শতাধিক শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীকে অনুপ্রাণিত করেছেন।

তিনি আরো জানাযন, “এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি সাধারণ মানুষের মধ্যে টেকসই নেতৃত্বের চেতনা জাগিয়ে তুলছি এবং তাদের জীবনমান উন্নত করার জন্য কাজ করছি। এখন পর্যন্ত আমি চারটি মিনি ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করেছি, যেখানে ১০০ -এর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন।”

রুহিল বলেন, ইউপিজি একটি বৈশ্বিক পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। ইউপিজি’তে যোগ দিতে আগ্রহী যে কেউ www.upglobe.org ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে টেকসই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমার সেশনগুলোতে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ নিয়ে ব্যবহারিক ধারণা শেয়ার করছি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

তিনি  আরও যোগ করেন , “ছোট ছোট উদ্যোগ একদিন বড় পরিবর্তনের ভিত্তি তৈরি করে। ইউপিজি আমাকে এই স্বপ্ন সফল করার জন্য দক্ষতা, প্ল্যাটফর্ম এবং আত্মবিশ্বাস প্রদান করেছে।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV