জৈন্তাপুরে ১৮ বছর অপেক্ষার পর ব্যক্তিগত অনুদানে সরকারী রাস্তা মেরামত 

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২০

জৈন্তাপুরে ১৮ বছর অপেক্ষার পর ব্যক্তিগত অনুদানে সরকারী রাস্তা মেরামত 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগ্রহঃ জৈন্তাপুর থেকে সোহেল আহমদ –
সিলেট-তামাবিল লাইনের পাশে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জৈন্তিয়া কলেজ। তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম বিশনাটেক এর সাথে সংযোগ মাটির রাস্তাটি চিরকালই দেখার বাইরে ছিলো। স্বধীনতার পরবর্তীকালে সম্ভত: একবার মাটির কাজ হয়েছিলো। কাঁদামাটির ইতহিাস মুছে দেয়া হয়েছিলো সিলেট-তামাবিল রাস্তা প্রসস্তকরনের সময় ঐ গ্রামের ঐতিহ্য বহনকারী প্রাকৃতিক টিলা ধ্বংস করে টিলাকাটা মাটির একাংশ দিয়ে। কিন্তু সরকারী উদ্যোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয় নাই।
২০০২ সাল- শিক্ষা জীবনের দুই রুমমেট [প্রকৌশলী মোঃ শরীফ উদ্দিনের (টিএন্ডটি) ও সাবেক সচিব মোঃ মিজানুর রহমান (তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা   সিলেট জেলা পরিষদ)একই সময় সিলেটে চাকুরীর সুবাদে জেলা পরিষদের অর্থায়নে জৈন্তা কলেজ যাত্রীছাউনী থেকে বিশনাটেক গ্রামের প্রান্ত পর্যন্ত রাস্তাটি আরসিসি ঢালাইসহ পাকা করনের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এর পর বহু নির্বাচন হয়ে গেলো বহু জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেন, কিন্তু কারো সুদৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে গ্রামবাসী-গ্রামের মসজিদ পর্যন্ত বর্ধিত করা যায়নি রাস্তাটি। দীর্ঘ ১৮ বছর অতিবাহিত হওয়ায় রাস্তাটি জরাজীর্ণ আকার ধারন করেছে। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়ায় গ্রামবাসী মিলে ব্যক্তিগত আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে তা মেরামত করে ব্যবহার উপযোগি করে তুলা হয়েছে,। আজ ছিলো পাকা মেরামত করার শেষ দিন-“নিরাপদ সড়ক দিবস”। তাই আশা করি সবার জন্য নিরাপদ আর স্বস্তিদায়ক চলাফেরা নিশ্চিত হবে। দেশ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের মহাসড়কে, দুঃখ করে লাভ কি? একটু কষ্ট করে এগুলেই তো পাবো আধুনিক ৪ লেনের মহাসড়ক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Live TV